“হৈমন্তী”
আমি উদ্দেশ্যহীনভাবে সঙ্গীহীন খুজছিলাম তোমাকে লোকালয়ের প্রান্তরে প্রান্তরে
হঠাত্ অদৃষ্টের কৃপায় অনাকাঙ্খিত ভাবে দেখা তোমার-ই সাথে
বহুকাল ধরে আমি অপেক্ষারত এই মূহুর্তটির জন্য যেন মনে হলো
আমি গভীর হৃদযোগে শুনছিলাম তোমার প্রলাপ বাক্যগুলোতুমি আনমনে শুধুই কি যেন বলে যাচ্ছিলে
আমি ছিলাম অপলক দৃষ্টিতে তোমার মুখপানে তাকিয়েতোমার মায়াবী মুখের অবর্ণনীয় হাসি
তোমার গোলাপী ঠোটের অনুরণিত কম্পন
তোমার চোখের পাপড়ির বন্য হরিণীর নৃত্য
আমি যেন ছিলাম কৃষ্ণের মতো ভালোবাসায় মত্তকিছুক্ষন পর পর আমার দিকে তোমার বাকা চাহনি
আর আমি তোমাকে পাবার সেই হাজার বছরের পুরনো ধ্যানে নিমগ্নতারপর হঠাত্ সেখানে উপস্থিত বিদায় মূহুর্ত
আর একটি কথা ও না বলে উঠে পড়া
একটিবার ও পেছনে না তাকিয়ে স্বজ্ঞানে তোমার প্রস্থান!
কি হতো একটিবার বললে,আজকের মতো বিদায় অপু!এমন মনে হচ্ছিলো যেন আমি তোমার কেউই নই!
একটিবার পেছনে ফিরে খানিকটা হেসে হাতটুকু একটু নাড়লে কি হতো?এদিকে আমার বুক জুড়ে যন্ত্রনাদায়ক হাহাকার
তোমায় আমি বুঝি প্রতিটি পরতে পরতে
কিন্তু আমায় তুমি বুঝো না
আফসোস তুমি কখন বুঝবে-ও না হৈমন্তী!